সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে চার বছর আগে গুম হওয়া ব্যক্তির কঙ্কাল
সীতাকুণ্ডে দুর্গম পাহাড় থেকে উদ্ধার হলো ৪ বছর আগে গুম হওয়া এক ব্যক্তির কঙ্কাল। গ্রেফতার হওয়া প্রতিবেশী আলমগীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সিআইডি অভিযান চালিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে। পরকীয়া প্রেমের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা সিআইডির।
ছোট ভাই আলাউদ্দিনের প্রতিটি কোদালের কোপে বের হয়ে আসছে নিখোঁজ বড় ভাই সালাউদ্দিনের শরীরের হাড়। আর সিআইডি কর্মকর্তারা সেই হাড় জড়ো করছেন কলাপাতায়। এভাবেই ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে চার বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
স্বজনরা বলেন, আমরা তাকে অনেক খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সিআইডির অভিযানে গ্রেফতার হয় এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর। তাকে নিয়েই শুরু হয় সিআইডির কঙ্কাল উদ্ধারের অভিযান। পাহাড়ি পথ ডিঙিয়ে পাহাড়ি খাঁজের গর্ত খুঁড়ে সন্ধান মেলে হাড়গোড়ের।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিআইডির পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, গর্ত খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করতে পেরেছি। ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি সালাউদ্দিনের লাশ কিনা।
সীতাকুণ্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদুল বলেন, হাড়গুলো চেক করতে হবে। ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এরপর আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারব।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হন সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার সালাউদ্দিন। এই ঘটনায় তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় প্রতিবেশী আলমগীরকে। পাহাড়ে এ ধরনের লাশ গুমের তথ্য জানালেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন।
তিনি বলেন, এই পাহাড়ে অনেক সময় অনেকের লাশই পাওয়া গেছে। আমরা সন্দেহ করছি এটাও তেমন কিছুই।
সিআইডি জানায়, একাধিক মামলার আসামি আলমগীরের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম ছিল সালাউদ্দিনের। এটা জানতে পেরেই আলমগীর কৌশলে সালাউদ্দিনকে পাহাড়ে ডেকে এনে হত্যা করেছিল।